বাবরি মসজিদ কি কোন জাদুকরি উপায়ে ভেঙে গিয়েছিল? আইন ব্যবস্থার ইতিহাসের “কালো দিন” আখ্যা দিয়ে প্রশ্ন তুললেন আসাদউদ্দিন ওয়েসি
টিডিএন বাংলা ডেস্ক: বাবরি মসজিদ কি কোন জাদুকরি উপায়ে ভেঙে গিয়েছিল? সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের রায় দানের পর এমনটাই প্রশ্ন করলেন এআইএমআইএম সভাপতি তথা হায়দ্রাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েসি। সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় ষড়যন্ত্র করে বিতর্কিত কাঠামো ধ্বংস করার অভিযোগে অভিযুক্ত শীর্ষস্থানের রাজনৈতিক নেতাদের সাথেই সমস্ত অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে এই দিনকে ভারতের আইন ব্যবস্থার ইতিহাসের একটি “কালো দিন” হিসেবে উল্লেখ করেছেন এআইএমআইএম সভাপতি আসাদউদ্দিন ওয়েসি।
এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আসাদউদ্দিন ওয়েসি বাবরি মসজিদ নাগরিক বিরোধ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে এই ঘটনাকে “আইনের শাসনের এক গুরুতর লংঘন” হিসেবে বর্ণনা করার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “যদি সুপ্রিমকোর্ট এমন কথা বলে থাকে তাহলে, মসজিদটি কি জাদুকরি উপায় ভেঙে গিয়েছিল? ২৮ এবং ২৯ ডিসেম্বরে কি কেউ জাদুকরি উপায় মূর্তি প্রতিস্থাপন করে এসেছিল?”
এমনকি, আসাদউদ্দিন ওয়েসির দাবি, বাবরি মসজিদ ধ্বংস ঘটনার মাধ্যমেই এলকে আডবানি, মুরলী মনোহর যোশী, উমা ভারতীদের রাজনৈতিক জীবনে উন্নতি হয়েছে। তিনি বলেন,”যদি তারা রাজনৈতিক জীবনে কোনো উন্নতি পেয়ে থাকেন তো সেটা ধ্বংসের জন্যই পেয়েছেন। তোমরা আমাদের মসজিদ ভেঙেছে সেই জন্যেই তোমরা মন্ত্রী, গভর্নর এবং অন্যান্য পদে আসীন হয়েছ।”
সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে ৩২ জন অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সিবিআইকে উচ্চতর আদালতে ফের আপিল করার আবেদন জানিয়েছেন আসাদউদ্দিন ওয়েসি। তিনি বলেছেন, সিবিআইয়ের এই মামলার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চতর আদালতে যাওয়া উচিত। তবে কত দিনে তারা যাবেন তা জানা নেই। যদি তারা না যান, তাহলে আমি অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের কাছে আবেদন করব এই মামলার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চতর আদালতে যাবার জন্য।
বুধবার, সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের এই রায়কে মুসলিমদের প্রতি অবিচার বলে উল্লেখ করে আসাদউদ্দিন ওয়েসি আরো বলেন,”যখন মসজিদ কি ভাঙ্গা হয়েছিল সে সময় নিজেকে সহায়সম্বলহীন বলে মনে হয়েছিল। আমি এই ঘটনাকে একটা অপমান হিসেবে ধরেছিলাম। আজ আমি সেই একই অপমান এবং সহায়-সম্বলহীনতা বোধ করছি যা, আমি ১৯৯২ সালে বোধ করেছিলাম।”