“বাবরি ভেঙেছি আমরা, কঙ্গনা কি শেখাবেন!”; শিবসেনার মুখপত্র সামনায় কঙ্গনাকে পাল্টা জবাব সঞ্জয় রাউতের
টিডিএন বাংলা ডেস্ক: গতকাল অর্থাৎ বুধবার বৃহনমুম্বই পুরসভার কর্মীরা কঙ্গনা রানাউতের বান্দ্রার পালি হিলে অবস্থিত মনিকর্নীকার দপ্তর ভাঙ্গাকালিন টুইটারে কঙ্গনা রানাউত বিএমসির কর্মীদের সঙ্গে তথা শিবসেনার সঙ্গে বাবরের সেনার তুলনা করেছিলেন। টুইটারে তিনি লিখেছিলেন এই দপ্তর তাঁর কাছে রাম মন্দিরের সমান আর আজ সেখানে বাবর এসেছে। এরপর থেকেই কঙ্গনার এই মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। কঙ্গনার সমর্থনে এগিয়ে এসে শিবসেনা সরকারকে ভীতু এবং অগণতান্ত্রিক আখ্যা দেন বিজেপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফাড়নবিশ। শুধু তাই নয় বিএমসির পদক্ষেপের নিন্দা করেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান যে তিনি কঙ্গনার অফিস সম্পর্কে কিছু জানেননা। সংবাদপত্রে তিনি পড়েছেন যে সেটি একটি বেআইনি নির্মাণ। যদিও মুম্বাইতে বেআইনি নির্মাণ কোনো নতুন বিষয় নয়। চাপানউতোর সামলাতে রাতেই শিবসেনা প্রমুখ তথা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বাড়িতে বৈঠকে বসেন শরদ পওয়ার।
এদিকে রাজনৈতিক মহলে এই নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, যে হিন্দুত্ববাদের সহায়তায় শিবসেনা এতদিন লড়ে এসেছে কঙ্গনা রানাওয়াত কি সেই হিন্দুত্ববাদের তীরেই বিঁধতে চাইছেন শিবসেনাকে? আজ শিবসেনার মুখপত্র সামনায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে কঙ্গনার সেই বাবরের তীরের পাল্টা জবাবি হামলা করেছেন শিবসেনা মুখপাত্র ও সাংসদ সঞ্জয় রাউত। ওই প্রতিবেদনে সঞ্জয় রাউত বলেছেন “বাবরি ভেঙেছি আমরা, কঙ্গনা কি শেখাবেন!” এর পাশাপশি বিইমসির পদক্ষেপ সম্পর্কে রাউতের সাফ জবাব এর পেছনে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার বিষয় নেই। যদিও তিনি বলেছেন, কঙ্গনা মুম্বই সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন| যদি তিনি মন্তব্য প্রত্যাহার করে নেন, তাহলে আর ঝামেলা থাকে না।
অন্যদিকে, বিএমসির পদক্ষেপের ওপর আজ দুপুর তিনটে অব্দি স্থগিতাদেশ জারি করেছে হাইকোর্ট। গতকাল সকাল ১০:৩০ থেকে শুরু করে ১২:৪০ পর্যন্ত লাগাতার ভাঙচুর করে বিএমসি। অপরদিকে হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি শুরু দুপুর ১২:৩০ থেকে এবং যতক্ষণে এই মামলায় স্থগিতাদেশ জারি করে ততক্ষণে বিএমসি নিজের কার্যসিদ্ধি করে ফেলে। বিএমসির এই অতি তৎপরতা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে বম্বে হাইকোর্ট। আজ দুপুরে ওই মামলার ফের শুনানি হবে।