ডিএমকে কেন বরখাস্ত করা হচ্ছে না? হাথরাস কাণ্ডের তদন্ত নিয়ে যোগী সরকারকে প্রশ্ন করলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
টিডিএন বাংলা ডেস্ক: গতকাল প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও রাহুল গান্ধী হাথরাস নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। প্রায় ৪৫ মিনিটের বেশি সময় ধরে একটি বন্ধ ঘরের মধ্যে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথোপকথন করেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। এরপর আজ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যোগী সরকারের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
একটি টুইট করে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী লেখেন,”হাথরাসের নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী সবথেকে খারাপ ব্যবহার ডিএম করেছে। ওনাকে কে বাঁচাচ্ছে? ওনাকে অবিলম্বে দরখাস্ত করে পুরো ঘটনায় ওনার ভূমিকা নিয়ে তদন্ত করা হোক। পরিবার বিচারিক তদন্ত চাইছে তাহলে কেন সিবিআই তদন্ত নিয়ে হাঙ্গামা করে এসআইটির তদন্ত জারি রাখা হচ্ছে?”
এরপর অপর একটি টুইট করে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী লেখেন,”উত্তরপ্রদেশ সরকারের যদি একটুও ঘুম ভেঙ্গে থাকে তাহলে তার পরিবারের কথা শোনা উচিত।”এরপর উত্তরপ্রদেশ সরকারের উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করে আর একটি টুইট করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। নির্যাতিতার পরিবারের তরফ থেকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী লেখেন,
১) সুপ্রিম কোর্টের নিরীক্ষণে পুরো ঘটনার বিচারিক তদন্ত করা হোক।
২) হাথরাসের ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটকে বরখাস্ত করা হোক এবং অন্য কোনো বড় পদে অভিষিক্ত না করা হোক।
৩) আমাদের মেয়ের শরীর আমাদের বিনা অনুমতিতে পেট্রোল দিয়ে কেন জালানো হল?
৪) আমাদের বারবার বিভ্রান্ত করা হচ্ছে, শাসানো হচ্ছে কেন?
৫)আমরা মানবিকতার খাতিরে চিতা থেকে অস্থি সংগ্রহ করে এনেছি কিন্তু এটা আমরা কি করে মেনে নেব যে এই মৃতদেহ আমাদের মেয়েরই।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এরপর লেখেন এই প্রশ্নগুলির উত্তর পাওয়া পরিবারের অধিকার এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারকে এই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে।
গতকাল, রাহুল গান্ধী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী যখন পরিবারের সঙ্গে কথাবার্তা বলছিলেন সেসময় পরিবারের তরফ থেকে হাথরাসের ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট প্রবীন কুমার লক্ষকরের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ করা হয়েছে। নির্যাতিতার ভাই অভিযোগ করেন যে ডিএম তাঁদেরকে ভয় দেখিয়েছেন, শাসিয়েছেন।শুধু তাই নয়, মহিলাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে কথা বলার অভিযোগও করা হয়েছে ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট তাদের বলেছেন যদি তাদের মেঘ করোনায় মারা যেত তাহলে কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হতো না।
গতকাল নির্যাতিতার মাকে আলিঙ্গন করে তার দুঃখের কথা মন দিয়ে শুনেছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। নির্যাতিতার ভাই এবং বাবার সাথে পুরো ঘটনার বিষয়ে কথাবার্তা বলেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। এরপর রাহুল গান্ধী নির্যাতিতার পরিবার কে জিজ্ঞাসা করেন যে তাদের কি মনে হয় তারা ন্যায় পাবেন? এই প্রশ্নের জবাবে নির্যাতিতার মা রাহুল গান্ধীকে বলেন, “আপনি আমাদের ন্যায় পাইয়ে দিন।”