দেশ

এলএসিতে অনেক বেশি সংখ্যায় হাতিয়ার এবং সেনা নিয়ে হাজির চিন, প্রস্তুত ভারতীয় সেনা; লোকসভায় জানালেন রাজনাথ সিং

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: লাদাখের পূর্ব দিকে চীনা সেনাবাহিনীর সাথে অচলাবস্থার মধ্যে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন যে আমরা চীনকে জানিয়েছি যে একতরফাভাবে স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করার চেষ্টা মোটেই সহ্য করা হবে না। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতি অনুসারে, চীনা সেনাবাহিনী এলএসি-তে প্রচুর সেনা ও অস্ত্র মোতায়েন করেছে এবং এই অঞ্চলে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের অনেক বিষয় রয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “আমাদের সেনাও জবাবে মজুত রয়েছে যাতে দেশের সুরক্ষা স্বার্থের পুরোপুরি যত্ন নেওয়া হয়। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী দৃঢ়ভাবে এই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে। আমরা আমাদের সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে গর্বিত।”

এরপর সংসদ এবং সারা দেশের মানুষের সশস্ত্র বাহিনীর পাশে থাকার প্রস্তাব পাশ করানোর কথা বলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেন, ভারত চীনের সঙ্গে সীমান্তে অচলাবস্থার বিষয়টি নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধান করতে প্রতিবদ্ধ। এদিন লোকসভায় রাজনাথ সিং বলেন,”আমি এই বিষয়টির ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে চাই যে ভারত শান্তিপূর্ণ কথোপকথন এবং পরামর্শের মাধ্যমে সীমান্তের সমস্যা সমাধান করতে প্রতিবন্ধ। এই প্রসঙ্গে আমি ৪ সেপ্টেম্বর চিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সাথে আলোচনা করেছি।” “আমি স্পষ্ট করে বলেছি যে আমরা এই বিষয়টিকে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করতে চায় এবং এবং চীন আমাদের সাথে মিলিত ভাবে কাজ করুক।”এর পাশাপাশি এদিন রাজনাথ সিং এপ্রিলের পরে পূর্ব লাদাখে চীন সেনার অচলাবস্থার পরিস্থিতি এবং সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে কূটনৈতিক এবং সেনাস্তরে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ গুলি উল্লেখ করেন।

তিনি আরো বলেন,সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লাদাখ সফরের সময় এই বার্তা দিয়েছিলেন যে সমস্ত দেশবাসী সৈন্যদের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁর লাদাখ সফরের কথা উল্লেখ করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমিও সৈন্যদের অদম্য সাহস ও বীরত্ব অনুভব করেছি।” তবে, ভারত ও চীনের মধ্যে সীমানা নির্ধারণের প্রশ্নটি এখনও নিষ্পত্তিহীন এবং উভয় পক্ষই বিশ্বাস করে যে সীমান্ত একটি জটিল বিষয় এবং শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের সন্ধান করা উচিত বলে মন্তব্য করেন রাজনাথ সিং।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন,ভারত বিশ্বাস করে যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাড়ানো যেতে পারে এবং সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করা যেতে পারে, তবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) লঙ্ঘনের ফলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপর প্রভাব পড়বে। রাজা সিংহ বলেন, চুক্তি অনুযায়ী সীমানা সংক্রান্ত সমস্যা সম্পূর্ণ সমাধান না হওয়া পর্যন্ত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা লংঘন কোন অবস্থাতেই করা যাবে না।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন যে দু’দেশ এই মূল নীতিগুলির সাথে একমত হয়েছে যে উভয় পক্ষেরই অবশ্যই এলএসি’র সম্মান করা উচিত এবং কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে, উভয় পক্ষেরই স্থিতাবস্থা লঙ্ঘনের চেষ্টা করা উচিত নয় এবং উভয় পক্ষকেই সমস্ত চুক্তি মেনে চলতে হবে। পাশাপাশি তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতেও সশস্ত্রবাহিনীর সীমান্তে পাহারাদারি এবং প্রচেষ্টার সম্মান করা উচিত।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বয়ানের পর কংগ্রেসের সদস্যরা কিছু প্রশ্নের জবাব জানতে চান যার প্রেক্ষিতে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা বলেন, সদনের সম্মতিতে এটা ঠিক করা হয়েছিল যে,জনসাধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মন্ত্রী যখন কোনও বক্তৃতা দেবেন, তখন এ নিয়ে কোনও প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হবে না। প্রশ্নের জবাব না দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে কংগ্রেস সদস্যরা হাউস থেকে বেরিয়ে যান।

Related Articles

Back to top button
error: