হায়দারপোরাকাণ্ডে চাপের মুখে পরিবারের হাতে দেহ ফেরাল প্রশাসন

প্রতীকী ছবি

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : জম্মু-কাশ্মীরে ফের পুলিশি অভিযানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চরমে। সোমবার হায়দারপোরার একটি বাড়িতে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়। সেই সঙ্গেই মৃত্যু হয় এক দাঁতের ডাক্তার ও ব্যবসায়ীর। পুলিশের অভিযোগ, তারা জঙ্গিদের সাহায্যকারী। অভিযোগ মানতে নারাজ পরিবার ও স্থানীয়রা। এই অবস্থায় চাপের মুখে নিহত ব্যবসায়ী আলতাফ ভাট ও চিকিৎসক মুদাসির গুলের দেহ কবর থেকে তুলে পরিবারের হাতে তুলে দিল বাহিনী।

সোমবারের এনকাউন্টারের পর বাহিনী প্রথমে জানিয়েছিল, ওই দুজনকে জঙ্গিরা হত্যা করেছে। পরে দাবি করে, তাঁরা গুলিযুদ্ধের মধ্যে পড়ে মারা যান। তার কিছুক্ষণ পরেই আলতাফ ও গুলকে জঙ্গি মদদদাতা বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়। শেষকৃত্যে অশান্তি এড়াতে তাঁদের দেহ পরিবারের হাতে না দিয়ে সমাহিত করে দেয় বাহিনী। দেহ ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন নিহতদের পরিবার। শ্রীনগরের মিউনিসিপাল পার্কে ধরনায় বসেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আব্দুল্লাহ। তিনি দাবি করেন, গুলি যুদ্ধের মধ্যে পড়ে যদি মারা গিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁদের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দিতে বাধা কোথায়? পিপলস কনফারেন্স এর নেতা সাজ্জাদ লোন হাইকোর্টের বিচারপতিকে দিয়ে এনকাউন্টারের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান। সম্মিলিত চাপে পড়ে দেহ ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি অভিযোগ করেন, মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল নিরীহ মানুষগুলোকে।

সূত্রের খবর, উপত্যকার অবস্থা খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে গোয়েন্দা কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা, জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্য সচিব, পুলিশ বিএসএফ এবং সিআরপিএফ এর ডিজি। আইন-শৃংখলার যুক্তি দেখিয়ে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই গৃহবন্দি করা হয় মেহবুবা মুফতিকে।